বাংলা কবিতার একটি ব্লগজিন ...প্রবীণ ও নবীন কবিদের মেলবন্ধন ঘটানোই এই ব্লগের উদ্দেশ্য। নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকটিও অতিক্রান্ত হলো। আমরা চাই, বাংলা কবিতার চলমান ধারাটি এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠুক। প্রচুর কথাবার্তা হোক কবিতা নিয়ে। নিছক কবিতা প্রকাশ নয়, কবিতা নিয়ে আলোচনা হোক মূল উদ্দেশ্য। আপনার সদ্য রচিত কবিতাটি পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় : kajalsen1952@gmail.com ,
anupam_gtl@yahoo.co.in ,
anupamkajal@gmail.com।
কথা বলুন : ০৯৮৩৫৫৪৪৬৭৫ /
০৮৯৬৭৩১৫৭০৬।
ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। অভিষেক আর রোশনীর ছবি তো মাইন্ড ব্লোয়িং। অভিষেক একদিকে বৃষ্টি আর একদিকে রোদ্দুর ঝরিয়েছে একই ফ্রেমে। রোশনী একটা সিম্পল ছবিকে ব্রেক করে ভুলভুলাইয়া বানিয়ে ছেড়েছে। হয়তো ফোটোশপে এসব সম্ভব হয়। মধুছন্দা, ঋতব্রত আর শ্রাবণী সোজা পরিস্কার ছবি তুলেছে তাদের ক্যামেরায়। ভালো লাগে দেখতে। আচ্ছা, শ্রাবণী আমাদের সুনির্মলদা'র মেয়ে না ?
কবিতার কালিমাটি খুব ভাল লাগল। সবকটি কবিতা পড়া হয়নি। যতটা পড়েছি, তার মধ্যে মিছিল, মানিকুই, একটা সেরা কাজ ভাল লেগেছে। অভিষেক, মধুছন্দা এদের ছবি ভাল লেগেছে। কবিরা তাঁদের কোনো কবিতা নিয়ে আলোচনা করলে ভাল লাগবে।
ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। অভিষেক আর রোশনীর ছবি তো মাইন্ড ব্লোয়িং। অভিষেক একদিকে বৃষ্টি আর একদিকে রোদ্দুর ঝরিয়েছে একই ফ্রেমে। রোশনী একটা সিম্পল ছবিকে ব্রেক করে ভুলভুলাইয়া বানিয়ে ছেড়েছে। হয়তো ফোটোশপে এসব সম্ভব হয়। মধুছন্দা, ঋতব্রত আর শ্রাবণী সোজা পরিস্কার ছবি তুলেছে তাদের ক্যামেরায়। ভালো লাগে দেখতে। আচ্ছা, শ্রাবণী আমাদের সুনির্মলদা'র মেয়ে না ?
Ei bishoye alochona bohudiner. Kobir daibodhhota niye. Keu biswas koren kobir kobita lekhatao daibodhhota noy. Tar theke joruri mostishke kobi hoa(Mon ke mostishko dhore niyei bolchi). Akta proshno amaro kobita poRe manush , ba somajer ki kono adu upokar hoy? Naki kobita sudhu matroi akjon pathok ke pather nirmol anondo day. Kobir anubhob kauke cho(n)be kina ei niye ki kobi adopei chintito thakbe? Naki se srishtir ghore achhonno thakbe. Ami ditwiyo bishoykei besi somorthon kori. Byektikendrik na sroshta kendrik? Konta upojukto shobdo hoa uchit? Jodi ditwiyota hoy tahole ami du ak kotha boli. Sroshta (kobitar khetre)ontoto ajker dine jehetu somajer kolyane kobita likhbe na , sekhetre srishti jug k chapiye jabe. Erokom prochur udahoron deoa jay anek boRo boRo kobir kobita just amra akhon poRina , ba ajke da(n)Riye tader grohonjogyota kotokhani , se dike takale dakha jay tar kaler gorve bilin. Karon kobitar ak vinno aloRon suru hoyeche, kobitar moR commercial prekhhapot theke beriye ese ak onyo digonter suchona koreche. Ami kobita kano poRbo? Er uttor pete giye dekhechi , kobita nischoi amon kichu debe ja onyo madhyom debe na. Ami jodi boli kobita manusher unnoti sadhon korbe choritrer sekhetre amra kobita na poRe niti kotha poRbo. Tahole kobita ki akta golpo tule dhorbe? Ekhaneo jiggasa ami tobe kobita cheRe golpo kano poRbo na? Tahole kobita ki hobe? Sotti er kono definition nei. Kobita amon akta bishoy hote pare ja poRe pathok bhasbe , dulbe , athoba shunyer dike chutbe. Je shobdo moho kobike gras korbe tar theke total kobitar jonmo hoteo pare nao hote pare. Kobita amar kache open ended hole to tar cheye boRo prapti kichu hoy na. Sobkhetre jodio ta hoye othe na. Tobe ami ja likhchi ta jodi amake choy tahole amon akjon pathok o thakbe j kobita take sporsho korbe. E amar biswas. Amar paoa anondo jodi kobitay choriye thake tukro tukro hoye tobe se tukro pathok(akjon holeo) ke giyeo chobe amar byekti goto biswas. Bibhinno manusher motamot ekhetre bibhinno. Akta notun kichu srishti hoyto onek compromise er modhyo diye toiri hoy , sekhetre somokal tatkhonik bhabe hoyto take dure thele rakhe. Kintu tar byatikromi grohonjogyota theke jay. Erokom chesta anek khatonama kobir bhrukunchoner baire ak boRo akar peyeche ja sotti ak biplob bole ami mone kori.
'কবিতার কালিমাটি ' মনকে অত্যন্ত উৎফুল্ল করে । আর আপনাদের উষ্ণ আহ্বান সাহস যোগায় কবিতাটি পাঠাতে । ভাল থাকবেন । এই ব্লগজিনটির জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল । ধন্যবাদান্তে ব্রততী চক্রবর্তী
সব্যসাচী, তুমি বাক-এও এই প্রশ্নটা করেছো আমাকে, বোধহয় 'সংবর্তক সাহিত্য পত্রিকা' থেকে ইনিই উত্থাপন করেছেন তর্কটি। কালের গর্ভে যে বিলীন হিয়ে যাচ্ছে তার কিছু যায় আসে না। ভেসে থাকলেও কিছু যায় আসে না তার। আসল কথা বর্তমানে কবি কবিতা লিখে আনন্দে আছেন কিনা, কবিতা লিখতে তার ভাল লাগছে কিনা। মানুষ হিসেবে কবির দায়বদ্ধতা আছে সমাজের প্রতি কারণ সমাজ তাকে তৈরি করেছে। কবি হিসেবে সমাজের কাছে তার কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সমাজ কবি তৈরি করে না। এই বৃহত্তর সমাজের মধ্যে একটা কবিসমাজও আছে, যেখানে কবির দায়বদ্ধতা থাকে, কারণ সেই কবিসমাজই তাকে তৈরি করে। তাই কবি সেই সমাজের জন্য রেখে যায় তার কবিতা। কবিতা দিয়ে সমাজের কোন কাজ বা উপকার হয় না। কবির আত্মার কাজে লাগে তা।
সব্যসাচী, তুমি বাক-এও এই প্রশ্নটা করেছো আমাকে, বোধহয় 'সংবর্তক সাহিত্য পত্রিকা' থেকে ইনিই উত্থাপন করেছেন তর্কটি। কালের গর্ভে যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার কিছু যায় আসে না। ভেসে থাকলেও কিছু যায় আসে না তার। আসল কথা বর্তমানে কবি কবিতা লিখে আনন্দে আছেন কিনা, কবিতা লিখতে তার ভাল লাগছে কিনা। মানুষ হিসেবে কবির দায়বদ্ধতা আছে সমাজের প্রতি কারণ সমাজ তাকে তৈরি করেছে। কবি হিসেবে সমাজের কাছে তার কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সমাজ কবি তৈরি করে না। এই বৃহত্তর সমাজের মধ্যে একটা কবিসমাজও আছে, যেখানে কবির দায়বদ্ধতা থাকে, কারণ সেই কবিসমাজই তাকে তৈরি করে। তাই কবি সেই সমাজের জন্য রেখে যায় তার কবিতা। কবিতা দিয়ে সমাজের কোন কাজ বা উপকার হয় না। কবির আত্মার কাজে লাগে তা।
ভাষার আবহমানতায় থাকে মানুষের তৈরি কৃষ্টিকালচার,বস্তু বস্তুরহিত রূপকাঠামোর যোগাযোগ। ব্যক্তির সাথে কাল কালহীনতার মিলন,তলে তলে বাহিত জ্ঞান বিজ্ঞানের চালচলন। সেই সূত্রে তার ভেতরে গড়ে ওঠে নীরব পর্যবেক্ষণ-পঠন যা একটি প্ররোচনা তৈরি করে মনে, শেষ পর্যন্ত তার ভাষাবোধের সাথে মিলে যায় এটি। এরকম যোগাযোগে একটি মাটির দলা তৈরী হয় প্রথমে, তার থেকে ধীরে ধীরে এক একটি পদ, পদবিন্যাস, আকার। তার পথ ধরেই তৈরি হয় ঘাস মাঠ জলাশয়, তখন গাছ ওড়ে, পাখি ডাকে। তাই কবিতা সবসময় বিচ্ছিন্ন, একদম ছন্নছাড়া কোনো ঘটনা নয়। একটা হয়ে থাকা জুড়ে থাকা শিকড়ের সাথে যুক্ত, মায়ের নাভিদড়ির সাথে সন্তানের যা। কিন্তু সেটি ধীরে ধীরে আলগা হয় কবিতার নুতন বোধ নতুন পথঅভিজ্ঞতা আহরণের সাথে সাথে। তার সাথে ঘটে ভাবকল্পনা অভিজ্ঞতার ক্রম বির্বতন। এইগুলি একটি ভাষাবোধের সাথে মিশে থাকে গোপনে,বা তৈরি হয় হাজার হাজার বছর ধরে। তাই কবিতা শূন্যের হতে পারে, হতে পারে আকারের। তার শিকড়সন্ধানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভাবকল্পনা সবকিছু থাকে পথে পথে, সেই পথ অবলম্বন করে কবি। তাই কবিতার হয়ে ওঠা বা গড়ে ওঠা কনো রকম জন্মমৃত্যু ছাড়াই। পথেই তার উত্থান পথ থেকেই সে সংকেত ধরে আনে, আনে সম্ভাবনা। পথেই সে নাঙ্গা হয়, পথে গড়ে ওঠা শত সহস্র পাঠশালার জাতক হয়। এই পথে পলায়নের নাম করে যে নামে, সে সৃষ্টি করে এক পরাভাষাআক্রান্ত বিবিধটানেল। সেই টানেলের আলো অন্ধকার ধরে তখন উপচানো পানির মতো কবিতা আসে। শব্দ শোনা যায়।
ভাষার আবহমানতায় থাকে মানুষের তৈরি কৃষ্টিকালচার,বস্তু বস্তুরহিত রূপকাঠামোর যোগাযোগ। ব্যক্তির সাথে কাল কালহীনতার মিলন,তলে তলে বাহিত জ্ঞান বিজ্ঞানের চালচলন। সেই সূত্রে তার ভেতরে গড়ে ওঠে নীরব পর্যবেক্ষণ-পঠন যা একটি প্ররোচনা তৈরি করে মনে, শেষ পর্যন্ত তার ভাষাবোধের সাথে মিলে যায় এটি। এরকম যোগাযোগে একটি মাটির দলা তৈরী হয় প্রথমে, তার থেকে ধীরে ধীরে এক একটি পদ, পদবিন্যাস, আকার। তার পথ ধরেই তৈরি হয় ঘাস মাঠ জলাশয়, তখন গাছ ওড়ে, পাখি ডাকে। তাই কবিতা সবসময় বিচ্ছিন্ন, একদম ছন্নছাড়া কোনো ঘটনা নয়। একটা হয়ে থাকা জুড়ে থাকা শিকড়ের সাথে যুক্ত, মায়ের নাভিদড়ির সাথে সন্তানের যা। কিন্তু সেটি ধীরে ধীরে আলগা হয় কবিতার নুতন বোধ নতুন পথঅভিজ্ঞতা আহরণের সাথে সাথে। তার সাথে ঘটে ভাবকল্পনা অভিজ্ঞতার ক্রম বির্বতন। এইগুলি একটি ভাষাবোধের সাথে মিশে থাকে গোপনে,বা তৈরি হয় হাজার হাজার বছর ধরে। তাই কবিতা শূন্যের হতে পারে, হতে পারে আকারের। তার শিকড়সন্ধানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভাবকল্পনা সবকিছু থাকে পথে পথে, সেই পথ অবলম্বন করে কবি। তাই কবিতার হয়ে ওঠা বা গড়ে ওঠা কনো রকম জন্মমৃত্যু ছাড়াই। পথেই তার উত্থান পথ থেকেই সে সংকেত ধরে আনে, আনে সম্ভাবনা। পথেই সে নাঙ্গা হয়, পথে গড়ে ওঠা শত সহস্র পাঠশালার জাতক হয়। এই পথে পলায়নের নাম করে যে নামে, সে সৃষ্টি করে এক পরাভাষাআক্রান্ত বিবিধটানেল। সেই টানেলের আলো অন্ধকার ধরে তখন উপচানো পানির মতো কবিতা আসে। শব্দ শোনা যায়।
সাঈদ, যুদ্ধপ্রান্তর আর দুশমনের গন্ধে প্রেমিকার আপেল আর মায়ের জরায়ু কি করে মনে পড়ে ভেবে দেখতে হবে। কলকাতা বইমেলায় তুষার আমাকে তোমার কবিতার দুটো বই দিয়েছিল। তা নিয়ে আমার কিছু লেখার আছে। এটা আমার কমিটমেন্ট হয়ে গেল। কিন্তু তোমার বর্তমান কবিতাটায় যুদ্ধভূমি আর যৌনভুমির ইকুইয়েশন তো হয় না, তাহলে কি ইনস্টলেশন ? তুমি কি বল ?
আজকাল অসম্ভব (absurd) বাংলা কবিতা না লিখে কবিতার লাইনে প্রাসানু (অনুপ্রাসকে ঘুরিয়ে বলা) বা প্রতিস্থাপনের ইনজেকশন করা হচ্ছে। কাজল, তোমার কবিতাটি আমার সেরকাম মনে হল। ইন্দ্রনীল আবার সি অসম্ভাব্যতাকে গড়িয়ে দিচ্ছে পরের লাইনে, সেখান থেকে আবার পরের লাইনে। দুটো কবিতাই নিজের নিজের মতো করে সম্ভ্রম আদায় করছে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বদেশদার বলা তাৎপর্যময়তার কী হবে ? কবিতা নাকি কাজে লাগবে মানুষের ! সে কি বাড়ীর দেয়ালে সেজে ওঠাই সার হবে ?
সাঈদ, যুদ্ধপ্রান্তর আর দুশমনের গন্ধে প্রেমিকার আপেল আর মায়ের জরায়ু কি করে মনে পড়ে ভেবে দেখতে হবে। কলকাতা বইমেলায় তুষার আমাকে তোমার কবিতার দুটো বই দিয়েছিল। তা নিয়ে আমার কিছু লেখার আছে। এটা আমার কমিটমেন্ট হয়ে গেল। কিন্তু তোমার বর্তমান কবিতাটায় যুদ্ধভূমি আর যৌনভুমির ইকুইয়েশন তো হয় না, তাহলে কি ইনস্টলেশন ? তুমি কি বল ?
আজকাল অসম্ভব (absurd) বাংলা কবিতা না লিখে কবিতার লাইনে প্রাসানু (অনুপ্রাসকে ঘুরিয়ে বলা) বা প্রতিস্থাপনের ইনজেকশন করা হচ্ছে। কাজল, তোমার কবিতাটি আমার সেরকাম মনে হল। ইন্দ্রনীল আবার সি অসম্ভাব্যতাকে গড়িয়ে দিচ্ছে পরের লাইনে, সেখান থেকে আবার পরের লাইনে। দুটো কবিতাই নিজের নিজের মতো করে সম্ভ্রম আদায় করছে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বদেশদার বলা তাৎপর্যময়তার কী হবে ? কবিতা নাকি কাজে লাগবে মানুষের ! সে কি বাড়ীর দেয়ালে সেজে ওঠাই সার হবে ?
বারিনদা, কবিতাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কবিতার ব্যাখ্যা বড় কঠিন যে! তাও আবার নিজের কবিতা। তবু একটু চেষ্টা করে দেখি। আসলে লেখাটিতে একজন তরুণ কবির প্রাথমিক মুহূর্তের মানসিক অবস্থাকে বিভিন্ন কনটেস্কট-এ ধরার চেষ্টা করছি। বলতে পারেন এটি- কমবেশি সব তরুণ কবির(এক সময় আমিও) খোলস ভেঙ্গে বেরিয়ে তার পথ ও ভাষাকে আবিস্কারের প্রাক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ। এখানে বলা অনুষঙ্গগুলি তার অ্যাডোলেসেন্ট - তার সেই সময়ের ঘোরগ্রস্ত বিষয়াবলির সাথে ইন্টাররিলেটেড। আবার কোনোটাই এখানে প্রধান নয় বরং তার ভেতর আর বাহিরে ঘটে যাওয়ার একটা রেলস্কেচ, একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, একটা স্টেশন থেকে আর একটা স্টেশনে চলে যাওয়া মুহূর্তের মতো। সে বয়:সন্ধিকালের স্বমেহন, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রায় অসহায় আত্মসমর্পণ থেকে পালিয়ে সমুদ্রে পড়ছে(স্বাধীন হচ্ছে) তারপরও তার রেহাই ঘটছে না কারণ সেখানেও সে প্রতিদিনের সাকার্স(সোসাইটি)র সস্তা মজাগুলোতে আটকে পড়ছে যা অবশেষে তাকে- প্রেম ও নারী বিষয়ক লিরিক্যাল, হালকা মেজাজের কবিতার জনক হতে সহায্য করছে। কবিতার পথ থেকে সরে গিয়ে- আত্মহত্যার নামে ধ্বংস হওয়ার মাঝখানে এক সময় ‘মায়ের জরায়ু’ মানে সৃষ্টিশীলতার আধারাবাটি পেয়ে তার কবিজন্ম হয়। সে তখন লেখে- রক্তে(নিজেকে চেনে)। ‘সূদুরের দুশমন’ কিন্তু এখানে কোনো যুদ্ধভূমি নয়, এটি তার ‘ পথ হারানোর অন্ধকার’ বা ভিলেন যা তাকে শুধু সৃষ্টিহীন যৌনখনিতে নিয়ে যায়। যাকে সে স্বপ্নতরবারি(নতুন ভাষা)দিয়ে ঘায়েল করবে বলে ভাবছে। এখানে তার মৃত্যু আর শহীদী মৃত্যু নয়- এটি আসলে একটি রিজ্যারেকশন। আপনি যদি ‘ইনস্টলেশন’ দিয়ে প্রতিস্থাপনা বোঝাতে চান তাহলে বলব এটি অটোম্যাটিক ইনস্টলেশন।
আমার বইয়ের উপর আলোকপাত করবেন বলে যে কথা দিয়েছেনে- তা জেনে কিন্তু এই অধম রোদ/কুয়াশায় মাখা মেলে ধরছে। অপেক্ষায় থাকলাম।
সাঈদ, আমি এটাই চেয়েছিলাম। কবি যাতে স্বয়ং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তার পথ উন্মুক্ত করা। যারা এটা পড়লেন তারা চিন্তনটা পেলেন, কাজলও তো এটাই চেয়েছিলে। কিন্তু না তুমি না ইন্দ্র, কেউ অংশ নিলে না।
সাঈদ, আমি এটাই চেয়েছিলাম। কবি যাতে স্বয়ং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তার পথ উন্মুক্ত করা। যারা এটা পড়লেন তারা চিন্তনটা পেলেন, কাজলও তো এটাই চেয়েছিলে। কিন্তু না তুমি না ইন্দ্র, কেউ অংশ নিলে না।
lekhaay, chhabite sab milie khub bhalo hoyechhe
ReplyDeleteKalimaati-17. kajalda, anupam dujankei abhinandan. sab lekhaai bhaalo, tabe aaalada kore bolle Barinda,Anupam,Sabyasachi, Dilipda, Ribhu, Obaaydullah, Lipika, Alok, Indra, pRashanta Gm aar anekdin par tomar akta ujjibito lekha porlaam. Chhabi gulo ebang alangkaraner kathao alada kore boltei habe. tabe egulor saajanor dharan-ta maajhe maajhe paalte ditr paaro, aaamar prastab. bhalo thako. joy hok Kalimaati-r.--RANJAN MOITRA
পাঠের আনন্দে পরবর্তী পাঠে যাচ্ছি, ...
ReplyDeleteসুন্দর। আর কিছু বলব না... চুপ করে পড়ি।
ReplyDeleteঅজস্র নতুন লেখা ।ধীরে ধীরে পড়তে হবে ।
ReplyDeleteভাল লাগলো কবিতারকালিমাটি - ১৭
ReplyDeleteঅভিনন্দন কাজল দা ...
ভালো লাগলো
ReplyDelete-ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম
্বেশ হচ্ছে কাজল দা,দারুণ!স্বপন রায়
ReplyDeleteAnabaddo abong dayittoshil sampadona,
ReplyDeleteushno basantik ovibadan apnake...@Kajal da.
Fazlul Islam
Dada,BoRo Bhalo laglo ,lekha niye alochonay aschi dhire dhire...
ReplyDeleteSabyasachi Hazra
্কাজল, এই পোস্টটা ভালো লাগছে পড়তে, দেখতেও।
ReplyDeleteছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। অভিষেক আর রোশনীর ছবি তো মাইন্ড ব্লোয়িং। অভিষেক একদিকে বৃষ্টি আর একদিকে রোদ্দুর ঝরিয়েছে একই ফ্রেমে। রোশনী একটা সিম্পল ছবিকে ব্রেক করে ভুলভুলাইয়া বানিয়ে ছেড়েছে। হয়তো ফোটোশপে এসব সম্ভব হয়। মধুছন্দা, ঋতব্রত আর শ্রাবণী সোজা পরিস্কার ছবি তুলেছে তাদের ক্যামেরায়। ভালো লাগে দেখতে। আচ্ছা, শ্রাবণী আমাদের সুনির্মলদা'র মেয়ে না ?
ReplyDeleteএই সংখ্যার মজা শেষ হবার নয়। ছবি রঙ আর কবিতা। দুর্দান্ত!!সদা সফলতা কামনা করি।
ReplyDeleteআবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
কবিতার কালিমাটি খুব ভাল লাগল। সবকটি কবিতা পড়া হয়নি। যতটা পড়েছি, তার মধ্যে মিছিল, মানিকুই, একটা সেরা কাজ ভাল লেগেছে। অভিষেক, মধুছন্দা এদের ছবি ভাল লেগেছে। কবিরা তাঁদের কোনো কবিতা নিয়ে আলোচনা করলে ভাল লাগবে।
ReplyDeleteমাধবী দত্ত
কাজল, এই পোস্টটা ভালো লাগছে পড়তে, দেখতেও।
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল
ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। অভিষেক আর রোশনীর ছবি তো মাইন্ড ব্লোয়িং। অভিষেক একদিকে বৃষ্টি আর একদিকে রোদ্দুর ঝরিয়েছে একই ফ্রেমে। রোশনী একটা সিম্পল ছবিকে ব্রেক করে ভুলভুলাইয়া বানিয়ে ছেড়েছে। হয়তো ফোটোশপে এসব সম্ভব হয়। মধুছন্দা, ঋতব্রত আর শ্রাবণী সোজা পরিস্কার ছবি তুলেছে তাদের ক্যামেরায়। ভালো লাগে দেখতে। আচ্ছা, শ্রাবণী আমাদের সুনির্মলদা'র মেয়ে না ?
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল
17th post-er kobita gulo porlam. Koyekti kobita besh valo laglo. Kobita gulor onupungkho alochona korar dhristota amader nei. Kobita gulor form niyeo kono kichu bolchina. Apnara jara kobita niye seriously vabchen, kobita niyei kaaj korchen..., tader ke amader pokhkho theke ekti matro sonirbondho onurodh: kobita je diner por din byaktikendrik hoye porche sei bisoye ektu vabben please. Kobir onuvob jodi kichhumatro somosti ke chhNute na pare tobe kobitar sarthokota kothay? Ei kotha sotyo je kobita kobir ontor-moner prokash. Kintu kobi yaki sathe darshonik-o. Somajer ghotomaan bastobota ebong tar poribortoner akangkha kobikeu vabito kore. Kobi ki sudhui ghore bose shobdo niye jugglery korbe? Etukui amader boktobyo. Apnader subho kamona kori. Kobitar ros-e sobbai sinchito hok. Kobita sobaike udbuddho koruk. Onek beshi bole fellam. Marjona korben.
ReplyDeleteSangbartak Sahitya Potrika
Kolkata
Ei bishoye alochona bohudiner. Kobir daibodhhota niye. Keu biswas koren kobir kobita lekhatao daibodhhota noy. Tar theke joruri mostishke kobi hoa(Mon ke mostishko dhore niyei bolchi).
ReplyDeleteAkta proshno amaro kobita poRe manush , ba somajer ki kono adu upokar hoy? Naki kobita sudhu matroi akjon pathok ke pather nirmol anondo day. Kobir anubhob kauke cho(n)be kina ei niye ki kobi adopei chintito thakbe? Naki se srishtir ghore achhonno thakbe. Ami ditwiyo bishoykei besi somorthon kori. Byektikendrik na sroshta kendrik? Konta upojukto shobdo hoa uchit? Jodi ditwiyota hoy tahole ami du ak kotha boli. Sroshta (kobitar khetre)ontoto ajker dine jehetu somajer kolyane kobita likhbe na , sekhetre srishti jug k chapiye jabe. Erokom prochur udahoron deoa jay anek boRo boRo kobir kobita just amra akhon poRina , ba ajke da(n)Riye tader grohonjogyota kotokhani , se dike takale dakha jay tar kaler gorve bilin. Karon kobitar ak vinno aloRon suru hoyeche, kobitar moR commercial prekhhapot theke beriye ese ak onyo digonter suchona koreche. Ami kobita kano poRbo? Er uttor pete giye dekhechi , kobita nischoi amon kichu debe ja onyo madhyom debe na. Ami jodi boli kobita manusher unnoti sadhon korbe choritrer sekhetre amra kobita na poRe niti kotha poRbo. Tahole kobita ki akta golpo tule dhorbe? Ekhaneo jiggasa ami tobe kobita cheRe golpo kano poRbo na? Tahole kobita ki hobe? Sotti er kono definition nei. Kobita amon akta bishoy hote pare ja poRe pathok bhasbe , dulbe , athoba shunyer dike chutbe. Je shobdo moho kobike gras korbe tar theke total kobitar jonmo hoteo pare nao hote pare. Kobita amar kache open ended hole to tar cheye boRo prapti kichu hoy na. Sobkhetre jodio ta hoye othe na. Tobe ami ja likhchi ta jodi amake choy tahole amon akjon pathok o thakbe j kobita take sporsho korbe. E amar biswas. Amar paoa anondo jodi kobitay choriye thake tukro tukro hoye tobe se tukro pathok(akjon holeo) ke giyeo chobe amar byekti goto biswas. Bibhinno manusher motamot ekhetre bibhinno. Akta notun kichu srishti hoyto onek compromise er modhyo diye toiri hoy , sekhetre somokal tatkhonik bhabe hoyto take dure thele rakhe. Kintu tar byatikromi grohonjogyota theke jay. Erokom chesta anek khatonama kobir bhrukunchoner baire ak boRo akar peyeche ja sotti ak biplob bole ami mone kori.
Barin da apni e bishoye ki bolen?
Ranjan dake dhonyobad. Ranjan da tumio e niye du ak kotha bolo. Kichu positive alochona hok.
ReplyDeleteভালো লাগলো
ReplyDelete-ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম
বেশ হচ্ছে কাজল দা,দারুণ! স্বপন রায়
ReplyDeleteMalay dar lekhati darun laglo...lekhata 22se srabon chobir 2-1 ti drisso khanik mone koracchilo...
ReplyDeleteAnupam da,,,tomar lekhtio bes laglo...tobe,,,ekta chotto koutuhol...Mrittur size dekhe nile ki mrittur proti amader j ek Abidito(Bidito holeo khoti nei) narir tan thake,,,seta nosto hoye jaoar voy thake na?
Avishek Biswas
mrityu-r size ... avishhek ... mrityu sei juto ... poro aar naa poro , paa tomaar khaali roye jaabe ...
Deleteekta juto ... alice hoe wonderland-e seta khorid korte paarto .
Hmm Anupam da...thik e...sudhu ektai akkhep!!! 'Juta Abiskar' er moto 'Mrittu Abiskar' kora galo na...Se nijer kheyale Kanna holo,nissobdo holo,sobdo holo---tobu roye galo...'Size' thakuk ba na thakuk...tao roye galo...
Delete'Kobitaar Kalimatir' 17th post besh koyekbar porlam. Kobita ebong chhobi niye emon balanced kaaj, sokoler monograhi hoyechhe bole amar driro biswas. Samirdar 'Kobitaar Pakhi', Malaydar 'Projapoti Projonmer Nari', Barindar 'Peu Kaha', Dilipdar 'Manikui', Kajaldar 'Ekta Sera Kaaj', Subir-er 'Bajna'....... eirokom asonkho kobitai obogahon kore ekta bhalo laga sristi holo ja bohudur tene niye chollo ---------
ReplyDeleteAar chhobiguli to ek ekti kobita hoye uthechhe. Priyo Kajalda-ke obhinondon o shroddha janai.
Sonali Begum
GHAZIABAD
আমার , ঐ , "খেজুর রস আহরণ" ছবিটা ,
ReplyDeleteমুর্শিদাবাদ এর সিরাজদৌল্লার সমাধি যাওয়ার পথে, ২৬/১/২০১১ তোলা ...
শীতকাল , চারদিকে সরষে ক্ষেত ,
তাল গাছে চড়ে ওই ব্যাক্তিটি কি অবলীলায়ে খেজুর রস আহরণ করছিলেন ...
তাই দেখে, আমাদের টাঙ্গা থামিয়ে, নেমে, সামনে এগিয়ে গিয়ে ছবিটা তুলেছিল্মম ...
মধুছন্দা মিত্র ঘোষ
আমার সূর্্যাস্তের ছবি ব্রহ্মপুত্রের বুকে - নৌকো থেকে তোলা।
ReplyDeleteশ্রাবণী।
Totally enjoyable!!
ReplyDeletethanks kajol da, আপনার সম্পাদিত কালিমাটির এই সংখ্যা টি পড়লাম। ভাল লাগল। সবসময় আপনার এবং কালিমাটির সাথে থাকার প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ।
ReplyDeleteZabed Ahmed
Chittagong, Bangladesh
'কবিতার কালিমাটি ' মনকে অত্যন্ত উৎফুল্ল করে । আর আপনাদের উষ্ণ আহ্বান সাহস যোগায় কবিতাটি পাঠাতে । ভাল থাকবেন । এই ব্লগজিনটির জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
ReplyDeleteধন্যবাদান্তে
ব্রততী চক্রবর্তী
priya kajalbabu, 17th post porlam. malayda!! ei rasik uchharangulo!!r sab ok, kalimati upoyukta. valo thakun.
ReplyDeletemoulinath biswas
সব্যসাচী, তুমি বাক-এও এই প্রশ্নটা করেছো আমাকে, বোধহয় 'সংবর্তক সাহিত্য পত্রিকা' থেকে ইনিই উত্থাপন করেছেন তর্কটি। কালের গর্ভে যে বিলীন হিয়ে যাচ্ছে তার কিছু যায় আসে না। ভেসে থাকলেও কিছু যায় আসে না তার। আসল কথা বর্তমানে কবি কবিতা লিখে আনন্দে আছেন কিনা, কবিতা লিখতে তার ভাল লাগছে কিনা। মানুষ হিসেবে কবির দায়বদ্ধতা আছে সমাজের প্রতি কারণ সমাজ তাকে তৈরি করেছে। কবি হিসেবে সমাজের কাছে তার কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সমাজ কবি তৈরি করে না। এই বৃহত্তর সমাজের মধ্যে একটা কবিসমাজও আছে, যেখানে কবির দায়বদ্ধতা থাকে, কারণ সেই কবিসমাজই তাকে তৈরি করে। তাই কবি সেই সমাজের জন্য রেখে যায় তার কবিতা। কবিতা দিয়ে সমাজের কোন কাজ বা উপকার হয় না। কবির আত্মার কাজে লাগে তা।
ReplyDeleteKajal, abar haralo amar banglay lekha mantabyo.
ReplyDeleteBangla potrikay ingriji badhyatamulak hobar protibade ami abar beriye gelam.
ReplyDeleteসব্যসাচী, তুমি বাক-এও এই প্রশ্নটা করেছো আমাকে, বোধহয় 'সংবর্তক সাহিত্য পত্রিকা' থেকে ইনিই উত্থাপন করেছেন তর্কটি। কালের গর্ভে যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার কিছু যায় আসে না। ভেসে থাকলেও কিছু যায় আসে না তার। আসল কথা বর্তমানে কবি কবিতা লিখে আনন্দে আছেন কিনা, কবিতা লিখতে তার ভাল লাগছে কিনা। মানুষ হিসেবে কবির দায়বদ্ধতা আছে সমাজের প্রতি কারণ সমাজ তাকে তৈরি করেছে। কবি হিসেবে সমাজের কাছে তার কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সমাজ কবি তৈরি করে না। এই বৃহত্তর সমাজের মধ্যে একটা কবিসমাজও আছে, যেখানে কবির দায়বদ্ধতা থাকে, কারণ সেই কবিসমাজই তাকে তৈরি করে। তাই কবি সেই সমাজের জন্য রেখে যায় তার কবিতা। কবিতা দিয়ে সমাজের কোন কাজ বা উপকার হয় না। কবির আত্মার কাজে লাগে তা।
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল
Thanks dada ... Ei kathatar proyojon chilo.
ReplyDeleteভাষার আবহমানতায় থাকে মানুষের তৈরি কৃষ্টিকালচার,বস্তু বস্তুরহিত রূপকাঠামোর যোগাযোগ। ব্যক্তির সাথে কাল কালহীনতার মিলন,তলে তলে বাহিত জ্ঞান বিজ্ঞানের চালচলন। সেই সূত্রে তার ভেতরে গড়ে ওঠে নীরব পর্যবেক্ষণ-পঠন যা একটি প্ররোচনা তৈরি করে মনে, শেষ পর্যন্ত তার ভাষাবোধের সাথে মিলে যায় এটি। এরকম যোগাযোগে একটি মাটির দলা তৈরী হয় প্রথমে, তার থেকে ধীরে ধীরে এক একটি পদ, পদবিন্যাস, আকার। তার পথ ধরেই তৈরি হয় ঘাস মাঠ জলাশয়, তখন গাছ ওড়ে, পাখি ডাকে। তাই কবিতা সবসময় বিচ্ছিন্ন, একদম ছন্নছাড়া কোনো ঘটনা নয়। একটা হয়ে থাকা জুড়ে থাকা শিকড়ের সাথে যুক্ত, মায়ের নাভিদড়ির সাথে সন্তানের যা। কিন্তু সেটি ধীরে ধীরে আলগা হয় কবিতার নুতন বোধ নতুন পথঅভিজ্ঞতা আহরণের সাথে সাথে। তার সাথে ঘটে ভাবকল্পনা অভিজ্ঞতার ক্রম বির্বতন। এইগুলি একটি ভাষাবোধের সাথে মিশে থাকে গোপনে,বা তৈরি হয় হাজার হাজার বছর ধরে। তাই কবিতা শূন্যের হতে পারে, হতে পারে আকারের। তার শিকড়সন্ধানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভাবকল্পনা সবকিছু থাকে পথে পথে, সেই পথ অবলম্বন করে কবি। তাই কবিতার হয়ে ওঠা বা গড়ে ওঠা কনো রকম জন্মমৃত্যু ছাড়াই। পথেই তার উত্থান পথ থেকেই সে সংকেত ধরে আনে, আনে সম্ভাবনা। পথেই সে নাঙ্গা হয়, পথে গড়ে ওঠা শত সহস্র পাঠশালার জাতক হয়। এই পথে পলায়নের নাম করে যে নামে, সে সৃষ্টি করে এক পরাভাষাআক্রান্ত বিবিধটানেল। সেই টানেলের আলো অন্ধকার ধরে তখন উপচানো পানির মতো কবিতা আসে। শব্দ শোনা যায়।
ReplyDeleteআবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
ভাষার আবহমানতায় থাকে মানুষের তৈরি কৃষ্টিকালচার,বস্তু বস্তুরহিত রূপকাঠামোর যোগাযোগ। ব্যক্তির সাথে কাল কালহীনতার মিলন,তলে তলে বাহিত জ্ঞান বিজ্ঞানের চালচলন। সেই সূত্রে তার ভেতরে গড়ে ওঠে নীরব পর্যবেক্ষণ-পঠন যা একটি প্ররোচনা তৈরি করে মনে, শেষ পর্যন্ত তার ভাষাবোধের সাথে মিলে যায় এটি। এরকম যোগাযোগে একটি মাটির দলা তৈরী হয় প্রথমে, তার থেকে ধীরে ধীরে এক একটি পদ, পদবিন্যাস, আকার। তার পথ ধরেই তৈরি হয় ঘাস মাঠ জলাশয়, তখন গাছ ওড়ে, পাখি ডাকে। তাই কবিতা সবসময় বিচ্ছিন্ন, একদম ছন্নছাড়া কোনো ঘটনা নয়। একটা হয়ে থাকা জুড়ে থাকা শিকড়ের সাথে যুক্ত, মায়ের নাভিদড়ির সাথে সন্তানের যা। কিন্তু সেটি ধীরে ধীরে আলগা হয় কবিতার নুতন বোধ নতুন পথঅভিজ্ঞতা আহরণের সাথে সাথে। তার সাথে ঘটে ভাবকল্পনা অভিজ্ঞতার ক্রম বির্বতন। এইগুলি একটি ভাষাবোধের সাথে মিশে থাকে গোপনে,বা তৈরি হয় হাজার হাজার বছর ধরে। তাই কবিতা শূন্যের হতে পারে, হতে পারে আকারের। তার শিকড়সন্ধানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভাবকল্পনা সবকিছু থাকে পথে পথে, সেই পথ অবলম্বন করে কবি। তাই কবিতার হয়ে ওঠা বা গড়ে ওঠা কনো রকম জন্মমৃত্যু ছাড়াই। পথেই তার উত্থান পথ থেকেই সে সংকেত ধরে আনে, আনে সম্ভাবনা। পথেই সে নাঙ্গা হয়, পথে গড়ে ওঠা শত সহস্র পাঠশালার জাতক হয়। এই পথে পলায়নের নাম করে যে নামে, সে সৃষ্টি করে এক পরাভাষাআক্রান্ত বিবিধটানেল। সেই টানেলের আলো অন্ধকার ধরে তখন উপচানো পানির মতো কবিতা আসে। শব্দ শোনা যায়।
ReplyDeleteআবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
সাঈদ, যুদ্ধপ্রান্তর আর দুশমনের গন্ধে প্রেমিকার আপেল আর মায়ের জরায়ু কি করে মনে পড়ে ভেবে দেখতে হবে। কলকাতা বইমেলায় তুষার আমাকে তোমার কবিতার দুটো বই দিয়েছিল। তা নিয়ে আমার কিছু লেখার আছে। এটা আমার কমিটমেন্ট হয়ে গেল। কিন্তু তোমার বর্তমান কবিতাটায় যুদ্ধভূমি আর যৌনভুমির ইকুইয়েশন তো হয় না, তাহলে কি ইনস্টলেশন ? তুমি কি বল ?
ReplyDeleteআজকাল অসম্ভব (absurd) বাংলা কবিতা না লিখে কবিতার লাইনে প্রাসানু (অনুপ্রাসকে ঘুরিয়ে বলা) বা প্রতিস্থাপনের ইনজেকশন করা হচ্ছে। কাজল, তোমার কবিতাটি আমার সেরকাম মনে হল। ইন্দ্রনীল আবার সি অসম্ভাব্যতাকে গড়িয়ে দিচ্ছে পরের লাইনে, সেখান থেকে আবার পরের লাইনে। দুটো কবিতাই নিজের নিজের মতো করে সম্ভ্রম আদায় করছে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বদেশদার বলা তাৎপর্যময়তার কী হবে ? কবিতা নাকি কাজে লাগবে মানুষের ! সে কি বাড়ীর দেয়ালে সেজে ওঠাই সার হবে ?
ReplyDeleteসাঈদ, যুদ্ধপ্রান্তর আর দুশমনের গন্ধে প্রেমিকার আপেল আর মায়ের জরায়ু কি করে মনে পড়ে ভেবে দেখতে হবে। কলকাতা বইমেলায় তুষার আমাকে তোমার কবিতার দুটো বই দিয়েছিল। তা নিয়ে আমার কিছু লেখার আছে। এটা আমার কমিটমেন্ট হয়ে গেল। কিন্তু তোমার বর্তমান কবিতাটায় যুদ্ধভূমি আর যৌনভুমির ইকুইয়েশন তো হয় না, তাহলে কি ইনস্টলেশন ? তুমি কি বল ?
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল
আজকাল অসম্ভব (absurd) বাংলা কবিতা না লিখে কবিতার লাইনে প্রাসানু (অনুপ্রাসকে ঘুরিয়ে বলা) বা প্রতিস্থাপনের ইনজেকশন করা হচ্ছে। কাজল, তোমার কবিতাটি আমার সেরকাম মনে হল। ইন্দ্রনীল আবার সি অসম্ভাব্যতাকে গড়িয়ে দিচ্ছে পরের লাইনে, সেখান থেকে আবার পরের লাইনে। দুটো কবিতাই নিজের নিজের মতো করে সম্ভ্রম আদায় করছে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বদেশদার বলা তাৎপর্যময়তার কী হবে ? কবিতা নাকি কাজে লাগবে মানুষের ! সে কি বাড়ীর দেয়ালে সেজে ওঠাই সার হবে ?
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল
বারিনদা, কবিতাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কবিতার ব্যাখ্যা বড় কঠিন যে! তাও আবার নিজের কবিতা। তবু একটু চেষ্টা করে দেখি। আসলে লেখাটিতে একজন তরুণ কবির প্রাথমিক মুহূর্তের মানসিক অবস্থাকে বিভিন্ন কনটেস্কট-এ ধরার চেষ্টা করছি। বলতে পারেন এটি- কমবেশি সব তরুণ কবির(এক সময় আমিও) খোলস ভেঙ্গে বেরিয়ে তার পথ ও ভাষাকে আবিস্কারের প্রাক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ। এখানে বলা অনুষঙ্গগুলি তার অ্যাডোলেসেন্ট - তার সেই সময়ের ঘোরগ্রস্ত বিষয়াবলির সাথে ইন্টাররিলেটেড। আবার কোনোটাই এখানে প্রধান নয় বরং তার ভেতর আর বাহিরে ঘটে যাওয়ার একটা রেলস্কেচ, একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, একটা স্টেশন থেকে আর একটা স্টেশনে চলে যাওয়া মুহূর্তের মতো। সে বয়:সন্ধিকালের স্বমেহন, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রায় অসহায় আত্মসমর্পণ থেকে পালিয়ে সমুদ্রে পড়ছে(স্বাধীন হচ্ছে) তারপরও তার রেহাই ঘটছে না কারণ সেখানেও সে প্রতিদিনের সাকার্স(সোসাইটি)র সস্তা মজাগুলোতে আটকে পড়ছে যা অবশেষে তাকে- প্রেম ও নারী বিষয়ক লিরিক্যাল, হালকা মেজাজের কবিতার জনক হতে সহায্য করছে। কবিতার পথ থেকে সরে গিয়ে- আত্মহত্যার নামে ধ্বংস হওয়ার মাঝখানে এক সময় ‘মায়ের জরায়ু’ মানে সৃষ্টিশীলতার আধারাবাটি পেয়ে তার কবিজন্ম হয়। সে তখন লেখে- রক্তে(নিজেকে চেনে)। ‘সূদুরের দুশমন’ কিন্তু এখানে কোনো যুদ্ধভূমি নয়, এটি তার ‘ পথ হারানোর অন্ধকার’ বা ভিলেন যা তাকে শুধু সৃষ্টিহীন যৌনখনিতে নিয়ে যায়। যাকে সে স্বপ্নতরবারি(নতুন ভাষা)দিয়ে ঘায়েল করবে বলে ভাবছে। এখানে তার মৃত্যু আর শহীদী মৃত্যু নয়- এটি আসলে একটি রিজ্যারেকশন। আপনি যদি ‘ইনস্টলেশন’ দিয়ে প্রতিস্থাপনা বোঝাতে চান তাহলে বলব এটি অটোম্যাটিক ইনস্টলেশন।
ReplyDeleteআমার বইয়ের উপর আলোকপাত করবেন বলে যে কথা দিয়েছেনে- তা জেনে কিন্তু এই অধম রোদ/কুয়াশায় মাখা মেলে ধরছে। অপেক্ষায় থাকলাম।
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
সাঈদ, আমি এটাই চেয়েছিলাম। কবি যাতে স্বয়ং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তার পথ উন্মুক্ত করা। যারা এটা পড়লেন তারা চিন্তনটা পেলেন, কাজলও তো এটাই চেয়েছিলে। কিন্তু না তুমি না ইন্দ্র, কেউ অংশ নিলে না।
ReplyDeleteসাঈদ, আমি এটাই চেয়েছিলাম। কবি যাতে স্বয়ং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তার পথ উন্মুক্ত করা। যারা এটা পড়লেন তারা চিন্তনটা পেলেন, কাজলও তো এটাই চেয়েছিলে। কিন্তু না তুমি না ইন্দ্র, কেউ অংশ নিলে না।
ReplyDeleteবারীন ঘোষাল