আমাদের সঙ্গে আছেন

Monday, May 28, 2012

2nd Year : 5th Issue : 19th Post





























21 comments:

  1. Kobitaar kalimati sakoler valobasa avinandan r akansha niye onek baro hoye uthuk...

    Soma Dutta

    ReplyDelete
  2. kamon achhen? kobitaar kalimati khuuub valo hochchhe. niomitoi pori. valo thakun. apni khub nistha niye chala manush. KALIMATI dirgha sustah jiban pak.

    Ramkishore Bhattacharya

    ReplyDelete
  3. কাজল'দা ও কালিমাটি পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন, ... পাঠান্তরে কথা হবে, ... রাতটুকুন শুভ হোক! ...

    আরণ্যক টিটো

    ReplyDelete
  4. অনুপম দা, লেখা ভালো লাগলো।
    : তুহিন দাস

    ReplyDelete
  5. khub bhalo sankhya hoyeche kajal da..

    protita lekhay bar bar porte hay-- bhison bhalo hoyeche sankhya

    kalimati egiye choluk aro anek..

    Ramit..

    ReplyDelete
  6. Besh bhalo laglo kalimati r ei sonkhya. Dhonyobad janai.

    ReplyDelete
  7. bhalo laglo.emon sreshtishil kaaj kajal da kore jachhen.ko jon paren?avinandan kajalda!swapan roy.

    ReplyDelete
  8. Maloy da,
    jani abhiman apoman nimak-harami ajiban bhola jayna. apnake boli, esob apni turite uriye dite parar khamota rakhen. amra esob itihas jani. amra tader koruna kori. Neeta biswas.

    ReplyDelete
  9. kabita chobi, sobkichu mile ek darun ayojon. sobaike janachchi onek onek shuvechcha.

    abu sayeed obaidullah

    ReplyDelete
  10. কাজলদা,

    একটু দুঃখ পেলাম এই ম্নতব্য-পাতায় এসে। এখানে তো কেউ কবিতা নিয়ে কোন কথাই বলেনি। "পত্রিকা ভাল হয়েছে" এ মন্তব্য আর কতদিন? আপনার সেই শ্রীমতি লাহিড়ী কই, আর তাঁর সেই মন্তব্য - অপুষ্ট গদ্যের বাচ্চা? এভাবে আর কতদিন কাজলদা? কেন যে পাঠক প্রতিটি কবিতায় তাঁদের ভাললাগা বা খারাপলাগার কথা বলেন না বুঝতে পারি না।

    যাকগে, আমি আমার কথা বলি। সমীরদা'র কবিতায় কিছু দর্শন পেলাম, মলয়দা তাঁর মতই। এখানে এসে একটু আঁটকে গেলাম। আমার নিজের কবিতা-ভাবনা দিয়ে এঁদের কবিতার মূল্যায়ণ হয় না। সমীরদা'র পোস্টমর্ডান প্রবন্ধগুলো পড়ে অনেক কিছু শিখেছি। সমীরদা মলয়দা'রা আমার কাছে এমন একটা জায়গায় রয়েছেন যে বারবার মনে হয় যে শূণ্যদশকের কবিতা যেখানে প্রতিটা দিনই আসে নতুনের প্রত্যাশা নিয়ে, তার সাথে এঁদের কবিতা মিশিয়ে না ফেলাই হয়তো ভাল।

    ভালোলাগা শুরু হল বারীনদা'র গানে। কবিতাটা যেন শেষ হল না। কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, যেখান থেকে কবিতা, কোথায় যেন নিয়ে যায়। "এখানে ঘুমোই তখন অন্যখানে জাগি" লাইনটা হাত ধরে ঢুকিয়ে নিল কবিতায়। এই লাইনটির অনুরণন ছড়িয়ে আছে কবিতার সর্বাঙ্গে। তার সাথে কবিতার 'পেস', 'প্রোগ্রেস' ও 'ভেরিয়েশন'; ভাবা যায় না। কোথায় ছিলাম আর কোথায় নিয়ে গেলে বারীনদা।

    মুরারি সিংহ'র কবিতায় ৩য় স্ট্যাঞ্জাতে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছের ওজন কবিতা-প্রবাহকে নষ্ট করেছে দেখে ওটা বাদ দিয়েই পড়লাম কবিতাটা। ভালো লাগলো। তবু আর একটা অনুভব জানাই। আমার মনে হয় বাংলা কবিতায় ব্যবহৃত কোন শব্দ'কে প্রতিষ্ঠা করতে আর একটি বা একাধিক শব্দের ব্যবহার অনাবশ্যক। এই কবিতার শেষে এরকম কিছু শব্দ চোখে পড়লো। এটা লিখলাম আমার নিজস্ব কবিতা-ভাবনা থেকে।

    তোমাকে একটা প্রশ্ন করি কাজলদা, কবিতায় ক্রিয়াপদের আধিক্য কি ইচ্ছাকৃত? যদি হ্যাঁ বল - পরের প্রশ্ন - কেন? তোমার কি মনে হয় না যে ক্রিয়াপদের অনধিক ব্যবহার ও তার 'লিরিক্যাল' ইউস অনুভবকে সোজাসুজি পাঠকের সামনে আনে? আর তার মাত্রাধিক ব্যবহার কবিতাকে অনাবশ্যক 'ন্যারেটিভ' করে তোলে? ...... একটু ভেবো। পরের কবিতা আবু সাঈদ-এর 'ঘুড়িগুলি' সম্পর্কেও আমার একই অনুভব।

    ভালোলাগায় ডুবে গেলাম রঞ্জন মৈত্র'র 'ধাতুফুল'এ এসে। একটু থমকে ছিলাম কবিতায় 'সগাই' শব্দের ব্যবহারে। পরে 'সে গাই' পড়ে বুঝলাম ওই শব্দটা 'সাগাই'। এই না-বাংলা শব্দটার উচ্চারণে আ-কার বা অ-কার কোনটাই লাগে না। লাগে আ-কারের হাফ-মাত্রা। আমি বাংলার বাইরে কাটিয়েছি ৩০ বছর। তাই হয়তো ধরতে পেরেছি। এখানেই রঞ্জন। আকাশ থেকে শব্দ তুলে আনে। আর তার ধ্বনি থেকে আরো অনেক নতুন অনুভব তুলে নেয়। শেষে এসে 'চিড়িতন' শব্দটা লক্ষ্য করুন, ভাবুন তো ওই শব্দটার কি কোন অলটারনেটিভ আছে? ওই জায়গায় একেবারে অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু কবিতার ফ্লো কি একটুও আঁটকেছে?

    এভাবেই পরে আবার......

    সৌমিত্র

    ReplyDelete
  11. ...... কবিতা প্রসঙ্গে একটা কথা আমার বারবার মনে হয়, কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কবিতা আসে না। কবিতা আসে কাল্পনিক অভিজ্ঞতা থেকে। তাই অভিজ্ঞতার ভাশা-প্রকাশ হয় স্টেটমেন্টহীন। কবিতার জন্ম হয় কবির চেতনায়। আর যা লেখা হয় (এখানে তাকে 'কবিতা-লিপি' বলি) তা পাঠক'কে ওই চেতনায় থাকা কবিতার কাছে নিয়ে যেতে ধ্বনি-সম্বলিত পথ নির্দেশিকা। কোন স্টেটমেন্ট এখানে মূল্যহীন। ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নভেরা হোসেন এর কবিতা প্রসঙ্গে বলি এটা আমার বাস্তব-বর্ণন বলে মনে হয়েছে। কল্পনা নেই, তাই কোন কবিতা আমি পাইনি এখানে। পরের কবি জাহিরুল-এর কবিতাতেও প্রচুর স্টেটমেন্ট। এখানে জাহিরুল-এর প্রকাশভঙ্গিতে কোথাও কোথাও তাকে 'ডিক্টাম' বলে মনে হয়েছে। যেমন 'চারদিক ধারণাটাই তো এক মহাভুল'। এরকম লাইন কবিতায় কেন আসে আমি জানি না। কিন্তু পড়েতে গিয়ে মনে হয় কবি যেন তার টার্ম ডিক্টেট করছে। আর সেই টার্ম ছাপিয়ে উঠছে কবিতাকে।

    কবিতা পড়তে পড়তে কখনো মনে হয় 'গেরুয়া' পকেট না হলে কি 'ঘুমের স্মৃতি' বেরোয় না? কবি কি করে জানলেন ওটাকে আমি 'রুমাল' মনে করছি? কেউ কি জানতে চেয়েছে 'আসলে' ওটা কি? 'যদিও' শব্দে শুরু হয়ে 'যুক্তি'টা কোথায় গিয়ে থামল? 'তোমাদের ওটা অসমাপিকা মনে হলেও, আসলে কিন্তু চকমকি' - এ কোন সন্যাস?

    পরিচয় / আরণ্যক টিটো - দু'টো শব্দে আপত্তি আছে - প্রথম লাইনে 'আমি' ও এগারো লাইনে 'সাদা'। 'যদিচ' শব্দে 'যুক্তি'র গন্ধ লেগে আছে। এগুলো বাদ দিয়ে পড়লেও কবিতাটা একই থাকে। ভালো লেগেছে আমার।

    এরকমই, আবার পরে......

    সৌমিত্র

    ReplyDelete
  12. কাজলদা,

    কবিতার কালিমাটি - ১৯ এর পাঠপ্রতিক্রিয়ার তৃতীয় ভাগ লেখার জন্য কিছুটা সময় পেয়েছি আজ। তোমাকে এই লেখার ২য় ভাগ পাঠানোর পর থেকে পত্রিকা বা ওয়েবজাইনের 'মান' নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছি। আমরা যারা কোন না কোন পত্রিকার সাথে যুক্ত, পত্রিকার জন্য লেখা বাছাই করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ি বারবার। কোন লেখা রাখবো আর কোনটা রাখবো না এই সংশয় চিরকালীন। 'আমন্ত্রিত লেখা' রাখতেই হবে পত্রিকায়, তা সে লেখা যেমনই হোক না কেন। ৭০-এর এক পরিচিত মুখের কাছে লেখা চেয়ে আমি নিজেও এই বিপদে পড়েছিলাম একবার। তাই তোমার অবস্থা আমি বুঝি। পত্রিকার মান ধরে রাখতে প্রতি সংখ্যায় একই লেখকের লেখা ছাপানো কোন কাজের কথা নয়। আবার নতুন মুখ খুঁজতে গিয়ে সংখ্যাটির বারোটা বাজানোই বা কোন কাজের কথা? এই দুই-এর মাঝে পড়ে যা হতে পারে - ভালোমন্দ মিশিয়েই হোক প্রতিটি সংখ্যা - তাই হয়।

    আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি কবিতার ও সব লেখকের নিজস্ব পাঠক আছে। তাই যেসব লেখা আমার ভালো লাগেনি এই সংখ্যায় সেসব নিশ্চয় আরো অনেক পাঠকের ভালো লেগেছে। কিন্তু একটি লেখা ভালো লাগেনি বলার আগে কেন ভালো লাগেনি সে কথা বলার দায়িত্ব থেকে যায় কবি-পাঠক হিসেবে। আশাকরি কবি ও পাঠকরা আমার কথা বুঝবেন। আলোচনায় ফিরি আবার...

    রুবি রে / নীতা বিশ্বাস - শব্দের ভার নিতে পারলাম না। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ সাবলীল ও স্বচ্ছ হোক।
    সেখানে / অনুপম মুখোপাধ্যায় - কবিতাটির সাফল্য এসেছে শেষ লাইনে "ভয়াবহ" শব্দের ব্যবহারে।
    কলোনিহরিণ / সুবীর সরকার - ভালো লেগেছে। 'ক্যানভাসের পাখিদের' জায়গায় 'ক্যানভাস পাখিদের' হলে ও 'কিছু কুড়োতে দৌড়ে আসি অকালবর্শণে' না হয়ে 'কিছু কুড়োতে দৌড়োচ্ছে অকালবর্শণ' (বানানের জন্য ক্ষমা চাইছি) হলে আমার আরো ভালো লাগতো।
    দূর থেকে / শুভ্রনীল সাগর - ২য় স্ট্যাঞ্জাটা যেভাবে আমি পড়লাম - ছলছল/আষাঢ় ধোয়া জলে/করমচা পাতার হাতকুচি। ৩য় স্ট্যাঞ্জায় 'চন্দ্রদোষে' আমি চন্দ্রদোষ' পড়লাম আর ৩য় লাইন পড়লাম 'এইসব বিকেলজন্ম একদিন গাছ হয়...'। মনে হল 'ভেবেছিলে' প্রশ্নটা তেমন জরুরী নয়।
    ছায়ানদী / রত্নদীপা দে ঘোষ - একটি অসাধারণ কবিতা হতে পারতো যদি রত্নদীপা আর একটু সচেতন হতো লাইন-ব্রেক সম্পর্কে। একটু বিস্তারে যাই। ১ম স্ট্যাঞ্জা হতে পারতো - সে আকাশ মাত্র ত্রিশ শুদ্ধস্বর তুলে নিল জোনাকির ঠোঁট থেকে / নদীর লালবট গুছিয়ে রাখছে ব্যথার চুপ আর গোধুলির রোদরঙ। একই ভাবে ৩য় স্ট্যাঞ্জা - বারিষ জমছে শস্য বালিকার নীল তানপুরায় / যেন অবাধ্য হয়ে উঠবে তোমাকে ছুঁয়ে।

    একটা অদ্ভূৎ পাঠ অভিজ্ঞতা হল লিপিকা ঘোষ এর 'রঙ-আমি' পড়ে। কবিতাটিতে একটাই স্ট্রাইকিং লাইন - তোমার চশমা জুড়ে Sudeshnaদি লেগে আছে (সরি, বাংলায় লিখতে পারলাম না)। বাকি সবটাই যেন লেখা হয়েছে এই লাইনের সাপোর্টে। কবিতার শেষে লাইনটা রিপিট হয়ে একটা দারুণ এফেক্ট এনেছে।

    আর......

    'বারান্দাও গাউনের প্রান্তে লেগে থাকা সুঁচের কারুকাজ' - এডিক্‌শন, স্বপন রায় সত্যিই এডিক্‌শন। ওর টার্নগুলো এডিক্‌টিভ। ওর কবিতা দিয়ে কবিতার কালিমাটি - ১৯ শেষ হলে ভালো হতো। এই কবিতার পর আর অন্য কিছু ভালো লাগে না।

    সৌমিত্র

    ReplyDelete
  13. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  14. khub valo laglo ei sonkhyati o ...as usual !!! chhobi ebong lekha - protiti i onobodyo.

    ReplyDelete
  15. কাজলদা,


    একটু দুঃখ পেলাম এই মন্তব্য-পাতায় এসে। এখানে তো কেউ কবিতা নিয়ে কোন কথাই বলেনি। "পত্রিকা ভাল হয়েছে" এ মন্তব্য আর কতদিন? আপনার সেই শ্রীমতি লাহিড়ী কই, আর তাঁর সেই মন্তব্য - অপুষ্ট গদ্যের বাচ্চা? এভাবে আর কতদিন কাজলদা? কেন যে পাঠক প্রতিটি কবিতায় তাঁদের ভাললাগা বা খারাপলাগার কথা বলেন না বুঝতে পারি না।


    যাকগে, আমি আমার কথা বলি। সমীরদা'র কবিতায় কিছু দর্শন পেলাম, মলয়দা তাঁর মতই। এখানে এসে একটু আঁটকে গেলাম। আমার নিজের কবিতা-ভাবনা দিয়ে এঁদের কবিতার মূল্যায়ণ হয় না। সমীরদা'র পোস্টমর্ডান প্রবন্ধগুলো পড়ে অনেক কিছু শিখেছি। সমীরদা মলয়দা'রা আমার কাছে এমন একটা জায়গায় রয়েছেন যে বারবার মনে হয় যে শূণ্যদশকের কবিতা যেখানে প্রতিটা দিনই আসে নতুনের প্রত্যাশা নিয়ে, তার সাথে এঁদের কবিতা মিশিয়ে না ফেলাই হয়তো ভাল।


    ভালোলাগা শুরু হল বারীনদা'র গানে। কবিতাটা যেন শেষ হল না। কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, যেখান থেকে কবিতা, কোথায় যেন নিয়ে যায়। "এখানে ঘুমোই তখন অন্যখানে জাগি" লাইনটা হাত ধরে ঢুকিয়ে নিল কবিতায়। এই লাইনটির অনুরণন ছড়িয়ে আছে কবিতার সর্বাঙ্গে। তার সাথে কবিতার 'পেস', 'প্রোগ্রেস' ও 'ভেরিয়েশন'; ভাবা যায় না। কোথায় ছিলাম আর কোথায় নিয়ে গেলে বারীনদা।


    মুরারি সিংহ'র কবিতায় ৩য় স্ট্যাঞ্জাতে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছের ওজন কবিতা-প্রবাহকে নষ্ট করেছে দেখে ওটা বাদ দিয়েই পড়লাম কবিতাটা। ভালো লাগলো। তবু আর একটা অনুভব জানাই। আমার মনে হয় বাংলা কবিতায় ব্যবহৃত কোন শব্দ'কে প্রতিষ্ঠা করতে আর একটি বা একাধিক শব্দের ব্যবহার অনাবশ্যক। এই কবিতার শেষে এরকম কিছু শব্দ চোখে পড়লো। এটা লিখলাম আমার নিজস্ব কবিতা-ভাবনা থেকে।


    তোমাকে একটা প্রশ্ন করি কাজলদা, কবিতায় ক্রিয়াপদের আধিক্য কি ইচ্ছাকৃত? যদি হ্যাঁ বল - পরের প্রশ্ন - কেন? তোমার কি মনে হয় না যে ক্রিয়াপদের অনধিক ব্যবহার ও তার 'লিরিক্যাল' ইউস অনুভবকে সোজাসুজি পাঠকের সামনে আনে? আর তার মাত্রাধিক ব্যবহার কবিতাকে অনাবশ্যক 'ন্যারেটিভ' করে তোলে? ...... একটু ভেবো। পরের কবিতা আবু সাঈদ-এর 'ঘুড়িগুলি' সম্পর্কেও আমার একই অনুভব।


    ভালোলাগায় ডুবে গেলাম রঞ্জন মৈত্র'র 'ধাতুফুল'এ এসে। একটু থমকে ছিলাম কবিতায় 'সগাই' শব্দের ব্যবহারে। পরে 'সে গাই' পড়ে বুঝলাম ওই শব্দটা 'সাগাই'। এই না-বাংলা শব্দটার উচ্চারণে আ-কার বা অ-কার কোনটাই লাগে না। লাগে অ-কার ও আ-কার দু'টোরই হাফ-মাত্রা। আমি বাংলার বাইরে কাটিয়েছি ৩০ বছর। তাই হয়তো ধরতে পেরেছি। এখানেই রঞ্জন। আকাশ থেকে শব্দ তুলে আনে। আর তার ধ্বনি থেকে আরো অনেক নতুন অনুভব তুলে নেয়। শেষে এসে 'চিড়িতন' শব্দটা লক্ষ্য করুন, ভাবুন তো অই শব্দটার কি কোন অলটারনেটিভ আছে? ওই জায়গায় একেবারে অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু কবিতার ফ্লো কি একটুও আঁটকেছে? অথচ পাঠক একটু ধাক্কা খেয়েছে এখানে, ওই শব্দতে এসে। আর এটাই হয়তো চেয়েছিল রঞ্জন। ঠিক জানি না। তবে নিজের কবিতা ভাবনা থেকে মনে হয় হঠাৎ মুহূর্তের জন্য কবিতা থেকে বেরিয়ে আবার কবিতায় ফেরার এই কারিগরিটা দারুণ। তবে কবিতার যে জায়গায় এসে রঞ্জন এটা করেছে (আমি যেভাবে ভাবছি তা যদি হয়ে থাকে), বলতেই হবে এটা শুধু ওই করতে পারে - আকাশ থেকে শব্দ তুলে আনা আর কবিতায় তার সঠিক প্রয়োগ।

    সৌমিত্র সেনগুপ্ত

    ReplyDelete
  16. ...... কবিতা প্রসঙ্গে একটা কথা আমার বারবার মনে হয়, কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কবিতা আসে না। কবিতা আসে কাল্পনিক অভিজ্ঞতা থেকে। তাই অভিজ্ঞতার ভাষা-প্রকাশ হয় স্টেটমেন্টহীন। কবিতার জন্ম হয় কবির চেতনায়। আর যা লেখা হয় (এখানে তাকে 'কবিতা-লিপি' বলি) তা পাঠক'কে ওই চেতনায় থাকা কবিতার কাছে নিয়ে যেতে ধ্বনি-সম্বলিত পথ নির্দেশিকা। কোন স্টেটমেন্ট এখানে মূল্যহীন। ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নভেরা হোসেন এর কবিতা প্রসঙ্গে বলি এটা আমার বাস্তব-বর্ণন বলে মনে হয়েছে। কল্পনা নেই, তাই কোন কবিতা আমি পাইনি এখানে। পরের কবি জাহিরুল-এর কবিতাতেও প্রচুর স্টেটমেন্ট। এখানে জাহিরুল-এর প্রকাশভঙ্গিতে কোথাও কোথাও তাকে 'ডিক্টাম' বলে মনে হয়েছে। যেমন 'চারদিক ধারণাটাই তো এক মহাভুল'। এরকম লাইন কবিতায় কেন আসে আমি জানি না। কিন্তু পড়েতে গিয়ে মনে হয় কবি যেন তার টার্ম ডিক্টেট করছে। আর সেই টার্ম ছাপিয়ে উঠছে কবিতাকে।

    কবিতা পড়তে পড়তে কখনো মনে হয় 'গেরুয়া' পকেট না হলে কি 'ঘুমের স্মৃতি' বেরোয় না? কবি কি করে জানলেন ওটাকে আমি 'রুমাল' মনে করছি? কেউ কি জানতে চেয়েছে 'আসলে' ওটা কি? 'যদিও' শব্দে শুরু হয়ে 'যুক্তি'টা কোথায় গিয়ে থামল? 'তোমাদের ওটা অসমাপিকা মনে হলেও, আসলে কিন্তু চকমকি' - এ কোন সন্যাস?

    পরিচয় / আরণ্যক টিটো - দু'টো শব্দে আপত্তি আছে - প্রথম লাইনে 'আমি' ও এগারো লাইনে 'সাদা'। 'যদিচ' শব্দে 'যুক্তি'র গন্ধ লেগে আছে। এগুলো বাদ দিয়ে পড়লেও কবিতাটা একই থাকে। ভালো লেগেছে আমার।

    এরকমই, আবার পরে......

    সৌমিত্র সেনগুপ্ত

    ReplyDelete
    Replies
    1. Dear সৌমিত্র সেনগুপ্ত, Thanks for comment, I'll think about your opinion.

      Delete
  17. কাজলদা,

    কবিতার কালিমাটি - ১৯ এর পাঠপ্রতিক্রিয়ার তৃতীয় ভাগ লেখার জন্য কিছুটা সময় পেয়েছি আজ। তোমাকে এই লেখার ২য় ভাগ পাঠানোর পর থেকে পত্রিকা বা ওয়েবজাইনের 'মান' নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছি। আমরা যারা কোন না কোন পত্রিকার সাথে যুক্ত, পত্রিকার জন্য লেখা বাছাই করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ি বারবার। কোন লেখা রাখবো আর কোনটা রাখবো না এই সংশয় চিরকালীন। 'আমন্ত্রিত লেখা' রাখতেই হবে পত্রিকায়, তা সে লেখা যেমনই হোক না কেন। ৭০-এর এক পরিচিত মুখের কাছে লেখা চেয়ে আমি নিজেও এই বিপদে পড়েছিলাম একবার। তাই তোমার অবস্থা আমি বুঝি। পত্রিকার মান ধরে রাখতে প্রতি সংখ্যায় একই লেখকের লেখা ছাপানো কোন কাজের কথা নয়। আবার নতুন মুখ খুঁজতে গিয়ে সংখ্যাটির বারোটা বাজানোই বা কোন কাজের কথা? এই দুই-এর মাঝে পড়ে যা হতে পারে - ভালোমন্দ মিশিয়েই হোক প্রতিটি সংখ্যা - তাই হয়।

    আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি কবিতার ও সব লেখকের নিজস্ব পাঠক আছে। তাই যেসব লেখা আমার ভালো লাগেনি এই সংখ্যায় সেসব নিশ্চয় আরো অনেক পাঠকের ভালো লেগেছে। কিন্তু একটি লেখা ভালো লাগেনি বলার আগে কেন ভালো লাগেনি সে কথা বলার দায়িত্ব থেকে যায় কবি-পাঠক হিসেবে। আশাকরি কবি ও পাঠকরা আমার কথা বুঝবেন। আলোচনায় ফিরি আবার...

    রুবি রে / নীতা বিশ্বাস - শব্দের ভার নিতে পারলাম না। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ সাবলীল ও স্বচ্ছ হোক।
    সেখানে / অনুপম মুখোপাধ্যায় - কবিতাটির সাফল্য এসেছে শেষ লাইনে "ভয়াবহ" শব্দের ব্যবহারে।
    কলোনিহরিণ / সুবীর সরকার - ভালো লেগেছে। 'ক্যানভাসের পাখিদের' জায়গায় 'ক্যানভাস পাখিদের' হলে ও 'কিছু কুড়োতে দৌড়ে আসি অকালবর্শণে' না হয়ে 'কিছু কুড়োতে দৌড়োচ্ছে অকালবর্শণ' (বানানের জন্য ক্ষমা চাইছি) হলে আমার আরো ভালো লাগতো।
    দূর থেকে / শুভ্রনীল সাগর - ২য় স্ট্যাঞ্জাটা যেভাবে আমি পড়লাম - ছলছল/আষাঢ় ধোয়া জলে/করমচা পাতার হাতকুচি। ৩য় স্ট্যাঞ্জায় 'চন্দ্রদোষে' আমি চন্দ্রদোষ' পড়লাম আর ৩য় লাইন পড়লাম 'এইসব বিকেলজন্ম একদিন গাছ হয়...'। মনে হল 'ভেবেছিলে' প্রশ্নটা তেমন জরুরী নয়।
    ছায়ানদী / রত্নদীপা দে ঘোষ - একটি অসাধারণ কবিতা হতে পারতো যদি রত্নদীপা আর একটু সচেতন হতো লাইন-ব্রেক সম্পর্কে। একটু বিস্তারে যাই। ১ম স্ট্যাঞ্জা হতে পারতো - সে আকাশ মাত্র ত্রিশ শুদ্ধস্বর তুলে নিল জোনাকির ঠোঁট থেকে / নদীর লালবট গুছিয়ে রাখছে ব্যথার চুপ আর গোধুলির রোদরঙ। একই ভাবে ৩য় স্ট্যাঞ্জা - বারিষ জমছে শস্য বালিকার নীল তানপুরায় / যেন অবাধ্য হয়ে উঠবে তোমাকে ছুঁয়ে।

    একটা অদ্ভূৎ পাঠ অভিজ্ঞতা হল লিপিকা ঘোষ এর 'রঙ-আমি' পড়ে। কবিতাটিতে একটাই স্ট্রাইকিং লাইন - তোমার চশমা জুড়ে Sudeshnaদি লেগে আছে (সরি, বাংলায় লিখতে পারলাম না)। বাকি সবটাই যেন লেখা হয়েছে এই লাইনের সাপোর্টে। কবিতার শেষে লাইনটা রিপিট হয়ে একটা দারুণ এফেক্ট এনেছে।

    আর......

    'বারান্দাও গাউনের প্রান্তে লেগে থাকা সুঁচের কারুকাজ' - এডিক্‌শন, স্বপন রায় সত্যিই এডিক্‌শন। ওর টার্নগুলো এডিক্‌টিভ। ওর কবিতা দিয়ে কবিতার কালিমাটি - ১৯ শেষ হলে ভালো হতো। এই কবিতার পর আর অন্য কিছু ভালো লাগে না।

    সৌমিত্র সেনগুপ্ত

    ReplyDelete
  18. Dhanyabaad Soumitra Sengupta.Ei prothom, kobita niye ekti bishlesondhormi alochana pelaam. Satyi katha bolte gele ami atodin dhore amontai chaichhilaam. Jodio shune esechhi 'kobita bojhbaar noy, baajbaar`. mone hoy kobita`r byabochheder`o proyojan achhe. kothay kon shabda apryojoniyo, kon kobita`ti shabdabhare nuye porchhe.... ebong aro anek kichhu... tabei to samridhha habo.Parobortiteo erakom chokhe angul diye dekhiye debaar anurodh noy DAABI roilo. Neeta biswas

    ReplyDelete